জাফরান বাদাম মাদার মিক্স

জাফরান বাদাম মাদার মিক্স

কেন প্রয়োজন জাফরান বাদাম মাদার মিক্স ?

 

Ø   গর্ভধারনের জন্য বা গর্ভাবস্থায় থাকাকালীন সময়ে মায়ের প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় আয়রন, ফলিক এসিড, হাই প্রোটিন, ক্যালসিয়াম, ভিটামিন ও অন্যান্য পুষ্টি মা ও আগত সন্তানের সুস্থতার জন্য খুবই প্রয়োজন। আর এ সকল উপাদানগুলোই পাওয়া সম্ভব মজাদার জাফরান বাদাম মাদার মিক্সের মাধ্যমে যা সম্পূর্ন হোমমেড প্রক্রিয়ায় তৈরি ।

 

Ø আমাদের তৈরি করা মিশ্রণটি ১০০% অর্গানিক এবং এতে কোন ধরনের প্রিজারভেটিভ, কেমিক্যাল বা ক্ষতিকারক রং ব্যবহার করা হয়না।

 

কিভাবে খাবেনঃ

Ø  মিশ্রণটি দুধের সাথে মিশিয়ে খেতে হয় ( বছরের বেশি বয়সী বাচ্চাদের ক্ষেত্রে দিনে চামচ এবং বড়দের ক্ষেত্রে / চামচ) যাদের দুধ খাওয়ার প্রতি এলার্জি বা অনিহা আছে তারা পানি অথবা যে কোন জুসের সাথে মিশিয়েও খেতে পারে। এছাড়া অন্যান্য ডেজার্ট খাবার, যেমনঃ দই, পায়েস, ফালুদা, ফিরনি, সেমাই, রসগোল্লার উপর ছিটিয়ে খেলেও খাবারের স্বাদ বহুগুণ বেড়ে যায়।

কিভাবে সুরক্ষিত রাখে মা ও গর্ভের শিশুকেঃ

Ø  মা ও আপনার সন্তানের দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে

Ø  মা ও শিশুর উভয়ের টিস্যু বৃদ্ধি, রিপেয়ার ও আয়রনের চাহিদা মেটাতে সাহায্য করে

Ø  স্তন্যদানকারী মায়ের পুষ্টি চাহিদা পূরণ করে, খাবারের প্রতি অনীহা কমায় ও হরমোনাল ইমব্যালেন্সকে কন্ট্রোলে রাখে

Ø  মায়ের হজম ও বুকের দুধ বৃদ্ধি করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করার সহায়তা করে

Ø  ডায়াবেটিস ও মায়ের ওজন নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে

Ø  মা ও শিশুর ভিটামিন এবং খনিজ যেমন ফলিক অ্যাসিড, আয়রন, ম্যাগনেসিয়াম এবং জিঙ্ক এর ঘাটতি পূরণ করে

Ø  জরায়ুর পেশী শক্তিশালী করে যা নরমাল ডেলিভারি হওয়ায় সাহায্য করে

Ø  আগত সন্তানের মাংসপেশী , হাড়, দাঁত ও মস্তিস্ক গঠনে সাহায্য করে

Ø  নবজাতকের দৃষ্টিশক্তি, স্মৃতিশক্তি এবং স্নায়ুতন্ত্রের বৃদ্ধি ও বিকাশ ঘটায়

Ø  ব্রণ কমায়, ত্বক মসৃণ করে, তারুণ্যতা ধরে রাখে

Ø  চুলপড়া বন্ধ, চুলের গোড়া শক্ত, খুসকি দূর করে


যে সকল উপাদান দিয়ে তৈরিঃ

Ø  জাফরান বাদাম মিল্কশেক পাউডার মিশ্রণটি তৈরি করতে শুধুমাত্র ধরনের -গ্রেড প্রিমিয়াম কোয়ালিটির বড় দানাদার বাদাম (কাঠবাদাম, কাজুবাদাম, পেস্তাবাদাম, আখরোট, চিনাবাদাম গুড়ো দুধ) এবং খুবই উন্নত মানের জাফরান ব্যবহার করা হয়েছে।

নিন্মে প্রত্যেকটি উপাদনের উপকারিতা বিস্তারিত তুলে ধরা হল

কাঠবাদামঃ

কাঠবাদাম আমরা সকলেই চিনি। ছোট একটি খাবার, কিন্তু এর অনেক গুণ! ভিটামিন নিউট্রিশনে ভরপুর কাঠবাদাম শরীরের জন্য অত্যন্ত উপকারী। এতে রয়েছে প্রচুর পরিমানে ভিটামিন বি, , ডি এবং উপকারি ফ্যাট যা আমাদের দেহের জন্য অত্যন্ত ভালো। এছাড়াও এতে রয়েছে এনার্জি, প্রোটিন, কার্বোহাইড্রেট, ফাইবার, আয়রন, ক্যালসিয়াম, কপার এবং আরও অনেক উপাদান যা বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধে সহায়ক। এজন্য একে সুপারফুডও বলা হয়।

 কাঠ বাদামের উপকারিতাঃ

Ø  হজমশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে।

Ø  রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

Ø  ওজন কমাতে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে।

Ø  হৃদরোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে।

Ø  ক্যান্সার রোধে সাহায্য করে।

Ø  কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সাহায্য করে।

Ø  হাড়ের গঠন ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।

Ø  মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি করে এবং স্মৃতিভ্রম রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে।

 

কাজুবাদামঃ

কাজুবাদাম উচ্চ প্রোটিন, আঁশ স্বাস্থ্যকর চর্বি সমৃদ্ধ। সুস্বাদু কাজু বাদামে রয়েছে প্রচুর ভিটামিন, প্রোটিন খনিজ উপাদান যা শরীরকে সুস্থ রাখতে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সহায়তা করে। শুধু তাই নয়, কাজু বাদামে ভিটামিনের মাত্রা এত বেশি থাকে যে চিকিৎসকেরা একে প্রাকৃতিক ভিটামিন ট্যাবলেটও বলে থাকেন।

 কাজুবাদামের উপকারিতাঃ

Ø   ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখে।

Ø  চুলের গোড়া শক্ত করে।

Ø  তকের উজ্জলতা বৃদ্ধি করে।

Ø  স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি করে।

Ø  রক্তচাপ হ্রাস করে।

Ø  মাংসপেশী হাড় গঠন করে।

Ø  হৃদযন্ত্রের স্বাস্থ্য ভালো রাখে।

Ø  কোলেস্টেরলের মাত্রা উন্নত করে।

Ø  রক্তের শর্করা নিয়ন্ত্রণ করে।

Ø  কোষের ক্ষয় রোধ করে।

Ø  কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে।

Ø  বয়ষ্কদের ভুলে যাওয়া রোগ প্রতিরোধ করে।

 

 পেস্তাবাদামঃ

উজ্জ্বল সবুজ রঙের দারুণ সুস্বাদু বাদামটির নাম পেস্তা, এটা মোটামুটি সকলেই জানি। এটি আমাদের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে কার্যকর। পেস্তা বাদামে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ক্যালশিয়াম, প্রোটিন,পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, আয়রন, জিঙ্ক, ভিটামিন- ফাইবার যা শরীরের বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধে খুবই কার্যকরী ভুমিকা পালন কারে থাকে।

 পেস্তাবাদামের উপকারিতাঃ

Ø  চোখের বিভিন্ন সমস্যা দূর করে থাকে।

Ø  নিয়মিত পরিমাণমত পেস্তা খেলে ত্বকের বিভিন্ন সমস্যা দূর হয়।

Ø  এতে উপস্থিত ফাইবার খুব সহজে দেহের কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে।

Ø  কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ করে হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়।

Ø  মরণব্যাধি ক্যান্সার প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে।

Ø  রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে।

Ø  পেস্তা খাদ্যনালীতে উপকারি ব্যাকটেরিয়ার বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।

Ø  শিশুর শারীরিক মস্তিস্কের বিকাশ ঘটায়।

 

আখরোটঃ

বাদাম খেতে যারা পছন্দ করেন, তাদের কাছে পরিচিত নাম হলো আখরোট। তবে ফ্যাট আছে মনে করে অনেকে এই বাদাম এড়িয়ে চলেন। আসলে কিন্তু তা নয়। আখরোটে রয়েছে ওমেগা- ফ্যাটি অ্যাসিড যা শরীরের জন্য খুবই উপকারি। এছাড়াও রয়েছে ফাইবার, অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, প্রোটিন,আয়রন ভিটামিন যা শরীরে প্রয়োজনীয় পুষ্টির যোগান দিয়ে থাকে। তাই বিশেষজ্ঞরা সুস্থ থাকতে প্রতিদিন পরিমানমতো আখরোট খাওয়ার পরামর্শ দেন।

 আখরোটের উপকারিতাঃ

Ø   হৃদযন্ত্র ভালো রাখে।

Ø  মস্তিষ্কের বিকাশে সাহায্য করে।

Ø  ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়।

Ø  হাড় শক্ত করে।

Ø  গর্ভাবস্থায় উপকারী।

Ø  রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।

Ø  নিয়মিত খেলে ঘুম ভালো হয়।

 

চিনাবাদামঃ

চিনাবাদাম একটি উচ্চ পুষ্টিগুন সম্পন্ন খাদ্য। এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন, অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, কার্বো হাইড্রেট এবং প্রোটিনের মতো বিভিন্ন উপাদান যা শরীরকে সুস্থ রাখতে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সহায়তা করে। তাই আমাদের সুসাস্থ্যর কথা চিন্তা করে পরিমানমতো নিয়মিত চিনাবাদাম খাওয়া উচিত।

 চিনাবাদামের উপকারিতাঃ

Ø  খারাপ কোলেস্টেরল কমায়।

Ø  উপকারী চর্বির উৎস।

Ø  উচ্চমাত্রার আমিষের উৎস।

Ø  পাকস্থলী ক্যান্সার রোধ করে।

Ø  ত্বক উজ্জ্বল করে।

Ø  চুলের পুষ্টি জোগায়।

Ø  মস্তিষ্কের ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।

Ø  হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়।

Ø  হাড়ের ক্ষয় রোগ বন্ধ করে।

Ø  উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ পরে।

 

জাফরানঃ

জাফরান (Saffron) বা কেশর হল বিশ্বের সব চেয়ে দামি মশলা। যে কোনো খাবারে জাফরান ব্যবহার করলে সে খাবারের স্বাদ এবং রং অনেক বেড়ে যায়। মশলা বলে এর কাজ কেবলমাত্র রান্নাঘরেই সীমাবদ্ধ নয়, এর অনেক স্বাস্থ্য গুনাগুনও রয়েছে। জাফরানে আছে প্রচুর পরিমাণে ম্যাঙ্গানিজ, ম্যাগনেসিয়াম, কপার, আয়রন, ভিটামিন সি সহ প্রায় ১৫০টি উপকারি উপাদান এবং প্রায় ৯০টির বেশি রোগ উপশমে সক্ষম এই উপাদানটি।

 জাফরানের স্বাস্থ্য উপকারিতাঃ

Ø  ব্লাডসুগার নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে।

Ø  বাতের ব্যথা, জয়েন্টে ব্যথা, মাংসপেশির ব্যথা দূর করতে সাহায্য করে।

Ø  বিভিন্ন ধরনের ক্যানসার কোষ ধ্বংস করতে সাহায্য করে।

Ø  জাফরান দৃষ্টিশক্তি উন্নত করতে এবং চোখের ছানি পড়া সমস্যা প্রতিরোধেও ভালো কাজ করে।

Ø  কিডনি, যকৃৎ এবং মুত্রথলির রোগ থেকে মুক্তি দেয় জাফরান।

Ø  টিউমার নিরাময়েও জাফরান খুবই কার্যকরী।

Ø  জাফরান স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। এবং স্মৃতিশক্তি হারিয়ে যাওয়ার বিভিন্ন ঔষধে জাফরান ব্যবহার করা হয়।